সহ-পাঠ্যক্রম
সহ-পাঠ্যক্রম
১. রোভার স্কাউট
৪.রূবাক বিতর্ক পরিষদ
- *
রোভার স্কাউট আন্দোলন একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষামূলক কার্যক্রম । যুবকদের অবসর সময়ের সঠিক ব্যবহার করে তাদের সুশৃঙ্খল, পরোপকারি, আত্ননির্ভরশীল, দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরিতে স্কাউটিং কার্যক্রম খুবই সহায়ক বলে বিবেচিত। স্কাউটিং মূলত মুক্ত অঙ্গনের শিক্ষা। প্রকৃতির উদার পরিবেশে আনন্দময় খেলাধূলা ও শিক্ষার মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জিত হয় তা জীবন গঠনে সুন্দরভাবে কাজে লাগে। সেই সঙ্গে তারা সেবার মূলমন্ত্র নিয়ে সকলের উপকারে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলবে। ভালো কাজ এবং কল্যাণকর কাজ সেটা ব্যক্তি স্বার্থেই হোক, সমাজ বা জাতীয় বৃহত্তম স্বার্থেই হোক এ সম্পর্কে রোভারদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত । খিলা আজিজ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বাংলাদেশ স্কাউট্স রোভার অঞ্চলের রেজি নং ২৬০৯/১৪ এর মাধ্যমে রোভারদের একটি দল রোভার স্কাউট গ্রুপ নামে আত্নপ্রকাশ করে। খিলা আজিজ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠ্য পুস্তক এর পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সর্বদাই সচেষ্ট। তারই ধারবাহিকতায় খিলা আজিজ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট গ্রুপ প্রতি বছর রোভার সহচর বরণ করে তাদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ স্কাউট্স এর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে যেমন- প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল এজন্য ডিজাস্টার রেসপন্স টিম প্রশিক্ষণ, মেট কোর্স প্রশিক্ষণ, বিদ্যুৎ ও ক্যাম্প, জেলা রোভার মুটে, আঞ্চলিক রোভার ও জাতীয় রোভার মুটে দক্ষতার সাথে অংশগ্রহন করে। বিপির জন্মদিন যা বিপি দিবস নামে পরিচিত, বিদ্যুৎ ও জালানী সাশ্রয়ে আর্থ আওয়ার পালন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, শীতবস্ত্র বিতরণ, রক্ত দান কর্মসূচি সহ জাতীয় বিভিন্ন দিবস পালনে ভূমিকা পালন করে আসছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার,মনোহরগঞ্জ,কুমিল্লা কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংগ্রহণ, আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস পালন, উন্নয়ন মেলায় শৃখলার দায়িত্ব পালন, জাতীয় সমবায় দিবস পালন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান ৭ ই-মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক” বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য স্বীকৃতি প্রদান করায় আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। এভাবেই খিলা আজিজ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপ ছন্দে ছন্দে গভীর আনন্দে রোভারিং এ এগিয়ে চলছে ।
- *
রূবাক বিতর্ক পরিষদ:সক্রেটিস বলেছিলেন "A life unexamined is not worth living" যে জীবনে জিজ্ঞাসা নেই, তা কোন জীবন নয়। বিতর্কের জন্ম জিজ্ঞাসা থেকে, আমি যা জানি তা চূড়ান্ত নাও হতে পারে। আমরা জানাকে বিপরীত চিন্তা থেকে যাচাই করে নেয়ার নামই বিতর্ক। আমরা কেন বিতর্ক করব? বিতর্ক যুক্তিবাদী চেতনার বিকাশ ঘটায়। বিতর্কের মাধ্যমে যুক্তির ভিত্তিতে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয় আর আমাদের মাঝে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে এবং সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বোপরি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ৩০ লক্ষ বীর শহীদের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে এমন চারিত্রিক দৃঢ়তা সম্পন্ন মানুষ গঠন করে বিতর্ক চর্চার কেন্দ্র । প্রতিটি শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ চায় চিন্তার দারিদ্র্যকে জয় করতে, ভাবনার আড়ষ্টতা থেকে মুক্তি পেতে। আমরাও এই অবস্থার বাহিরে নই। এদেশের বাতাস আজ বিভিন্ন অস্থিতিশীল কাজে ভারী হয়ে গেছে। দুঃসময়ের ভারী বাতাসে নুয়ে পড়া সমাজকে গড়ার মানুষের আজ বড়ই সংকট বাংলার এই বৈরীক্ষণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং মুক্ত বাতাসের আভা নিয়ে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে যুক্তি বাদী আলোকিত বিতার্কিকরাই পারে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে। প্রাচীন গ্রীসের মহান দার্শনিক সক্রেটিস যুক্তির আলোয় পথ চলার সূচনা করেছিলেন। অতঃপর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিস্টটল ও প্লেটোর হাত ধরে যুক্তির দার্শনিক তত্ত্ব ও যুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে যুক্তির পথকে আরো সমৃদ্ধ করেন । বর্তমান সময়ে বিতর্ক চর্চা দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। এই সংগঠন গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো খিলা আজিজ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয় বিতর্ক সংসদ অন্ধকারে মশাল জ্বালি' এই স্লোগান যারা বুকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেইসব সহ-যোদ্ধাদের ধন্যবাদ, বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এ সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলীর প্রতি,সত্যকে চিনে নাও যুক্তির নিরিখে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।